জেঠু - স্মৃতিচারণ

 জেঠু - স্মৃতিচারণ 


কাকামনির সঙ্গে কথা বলার পরথেকেই জেঠুর সঙ্গে পুরানো স্মৃতিগুলো মানসপটে ভাসতে শুরু করে।  ভাবতে ভাবতে চলে গিয়ে ছিলাম একেবারে `প্রাক শৈশবে। মনে পড়ে যাচ্ছিল শৈলবালা স্কুলের মাঠে খেলতে যাওয়া, পাশেই প্রধান  শিক্ষকের বাসভবন, যার গেটের মাথায় লেখা ছিল শ্রী শ্ৰীমন্ত সরকার। ছোটবেলায়  জেঠুকে ভয় পেতাম, কেন তা এখন ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। আমার মনে পড়েনা  যে সেই  শৈশবে কখনো জেঠুর বকা খেয়েছি। বড় হয়েও যে খুব একটা খেয়েছি তাও নয়।  হয়তো বা তাঁর কঠিন ব্যাক্তিত্ত্বই এর কারণ। এর পর ক্রমে ক্রমে শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভালবাসা যোগ হতে থাকে যখন বুঝতে পারি আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার পিছনে জেঠুর কত বড়  অবদান।


জেঠুর কাছে কি কি শিখেছি ভাবলে প্রথমেই মনে পড়ে কতগুলো ছড়া ও কবিতা।  আমার যতদূর মনে পড়ে হাট্টিমাটিম টিম এই ছড়াটাই প্রথম শিখেছিলাম। সুর তাল এবং অঙ্গভঙ্গি দিয়ে যেভাবে জেঠু শিখিয়েছিল তা এখনও মনে আছে। এর পর আমাদের ছোট নদী , Ba Ba Black Sheep, Hickory Dickory Dock, Humpty Dumpty, এসেছে শরৎ হিমের পরশ  ইত্যাদি অনেক ছড়া ও কবিতা।  এই ছড়া গুলো বিশেষ করে ইংরেজি ছড়া গুলো শুনিয়ে অনেক প্রশংসা ও অনেক সময় এক দুটাকা উপহারও পেয়েছি। 


केयूराणि न भूषयन्ति पुरुषं हारा न चन्द्रोज्वला 

न स्नानं न विलेपनं न कुसुमं नालङ्‌कृता मूर्धजा ।

वाण्येका समलङ्‌करोति पुरुषं या संस्कृताधार्यते 

क्षीयन्ते खलु भूषणानि सततं वाग्भूषणं भूषणम्‌॥ 

সত্তর এবং আশির দশকে যখন রেডিওর জোর প্রচলন ছিল, সংস্কৃতের এই শ্লোকটা প্রায় রোজই শোনা যেত।  এই শ্লোকটা দিয়েই আমার সংস্কৃতে হাতেখড়ি, তাও হয়েছিল জেঠুর কাছেই। প্রতিটি শব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ তার অর্থ এবং সম্পূর্ণ শ্লোকটার ছন্দ এমন ভাবে মনে  গেঁথে গিয়েছিলো যে তা আজো তাঁজা হয়ে আছে। পরবর্তী কালে এই শ্লোকটা আমাদের পাঠ্য পুস্তকেও ছিল।  বলাই বাহুল্য যে এইটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের কারণ ছিলো।


জেঠু প্রধান শিক্ষক থাকাকালিন শৈলবালা স্কুলে প্রতিবৎসর রবীন্দ্র জয়ন্তী অত্যন্ত ধুমধামের সহিত পালন করা হতো।  জেঠু খাৰুপেটীয়া থেকে চলে যাবার পর ধীরে ধীরে ওটা কমতে কমতে অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়। সুতরাং বলা যেতে পারে  যে এই রবীন্দ্র জয়ন্তী বা ২৫এ বৈশাখের মুখ্য উদ্যোক্তা ছিল জেঠুই। ঐরকম কোনো এক ২৫এ বৈশাখের কদিন আগে জেঠু আমাদের ডেকে পাঠালো। আমি, মেজদা আর সুবীর, সহকারী প্রধান শিক্ষকের মেজো ছেলে। আমরা তিনজন তখন সবসময় একসঙ্গেই খেলাধুলো করতাম। জেঠু তখন একটা মোটা বই পড়ছিলো। আমাদের তিনজনকে দেখে বললো যে এইবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে আমাদের  তিনজনকে  একটা  কবিতা আবৃত্তি করতে হবে।  কবিতাটি আমাদের পড়ে শোনালো 

"নজরুল ইসলাম তসলিম ওই নাম, 

বাংলার বাদলার ঘনঘোর ঝঞ্ঝার 

দামামার দমদম লৌহময় গান গায় 

কাঁপাইয়া চন্দ্র ও সূর্য্যের কক্ষ, 

আলোকিত আসমান ধরণীর বক্ষ … " 

সম্পূর্ণ কবিতাটা এখন অরে মনে নেই, কিন্তু সেই বুক কাঁপানো লৌহময় আবৃত্তি আজো ভুলিনি।  আমরা কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম , কিন্তু জেঠুর মতো করে পারিনি। 


আমি ক্লাস ফাইভ আর সিক্সে পড়া কালীন দুই বছরের জন্য আমরা নলবাড়ি আমাদের গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। এর ব্যবস্থাও জেঠুই করে দিয়েছিলো, নইলে হয়তো আমরা কোথাও থাকতামই না। আমাদের গ্রাম  নাহেরবাড়ির স্কুলে আমার এডমিশন করিয়ে দেয়া হয়েছিল। ওই স্কুলের তখনকার প্রধান শিক্ষক রোহিনী  দেবনাথের সঙ্গে জেঠুর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।  সেই সূত্রে জেঠু একবার মুখ্য অতিথি হিসেবে আমাদের স্কুলে এসেছিলো। জেঠুর প্রতি আমাদের শিক্ষকদের সম্মান দেখবার মতো ছিল।  তখন সকালের প্রার্থনায় "জনগন মন অধিনায়ক" গানটা গাওয়া হতো।  জেঠু তার সঙ্গে 

त्वमेव माता च पिता त्वमेव ।

त्वमेव बन्धुश्च सखा त्वमेव ।

त्वमेव विद्या द्रविणम् त्वमेव ।

त्वमेव सर्वम् मम देव देव ॥

এই শ্লোকটাও জুড়ে দেবার প্রস্তাব রাখে।  শ্লোকটা গেয়ে প্রতিটি শব্দের অর্থ বুঝিয়ে পুরো শ্লোকটার ভাব বুঝিয়ে যখন প্রস্তাবটা রাখা হয় তখন সবাই এক বাক্যে তা গ্রহণ করে। এর পর এই শ্লোকটা অনেক বছর ওই স্কুলে চলতে থাকে। আমার জন্য ওটা সংস্কৃতের দ্বিতীয় শ্লোক শিক্ষা।  


সেই নালবাড়িতে থাকাকালীনই জেঠু একবার আমাকে একটা খাতা বানিয়ে দিয়েছিলো। খাতাটার বিশেষত্ত ছিলো যে ওটা বানানো হয়ে ছিল বিভিন্ন সময়ের বেঁচে থাকা কাগজ দিয়ে। ওর মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ও বিভিন্ন আকারের  পাতা ছিল এবং বেশ মোটাও ছিল।  আমার জন্য ওটা একটা বিশিষ্ট উপহার ছিল দুটো কারণে।  প্রথমত  ওটা ছিল বিরল, একটু অন্য ধরনের, একমাত্র আমার কাছেই ছিল।  দ্বিতীয়ত  আমরা এতগুলো ভাইবোনের মধ্যে জেঠু আমাকেই বেছে নিয়েছিল ওই খাতাটা দেয়ার জন্য। পরবর্তী কালে আমি যখনি কোথাও খালি সাদা কাগজ পেতাম, তা রেখে দিতাম এবং একসঙ্গে অনেক পাতা জমা হয়ে গেলে তা দিয়ে ঐরকম খাতা বানাতাম। এখনো বানাই ! 


নলবাড়ি যাওয়ার আগে খাৰুপেটীয়ায় আমরা একটা ভাড়াবাড়িতে থাকতাম। ওই বাড়িটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা নলবাড়ি থাকাকালীন বাবা মেজদিদের বাড়িতেই থাকতো। জেঠুর বাড়িকে আমরা 'মেজদিদের বাড়ি' বলতাম , কারণটা আমার অজানা। দুই বছর জেঠুর তত্বাবধানে বাবার বইয়ের ব্যবসাটা একটু ঠিক হয়ে আসে। তখন আমরা আবার খাৰুপেটীয়া ফিরে যাই। ওই ফিরে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের ছিল। আনন্দটা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায় যখন আমরা গিয়ে উঠি মেজদিদের বাড়িতে। গ্রামথেকে শহরে ফিরে যাওয়া এবং চব্বিশ ঘন্টা মেজদার সঙ্গে খেলার সুযোগ, সে যেন সীমাহীন আনন্দ। খাৰুপেটীয়াতে তখন আমাদের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বাড়িটা তৈরি হয় পুরোপুরি জেঠুর টাকায় এবং তত্বাবধানে।  পরে জানতে পারি যে জমিটাও জেঠুই কিনে দিয়েছিল। বাড়ি তৈরি হওয়া পর্য্যন্ত বেশ কয়েকদিন আমরা মা-বাবা আর পাঁচ ভাইবোন মেজদিদের বাড়িতেই ছিলাম। এখন ভাবলে আশ্চর্য্য লাগে যে জেঠুর সঙ্গে সঙ্গে বড়মার মনটাও কতটা উদার ছিল। 


ক্লাস সেভেনে আমার এডমিশন হয় খাৰুপেটীয়া উচ্চতর  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। জেঠুর সঙ্গে গিয়েছিলম এডমিশনের জন্য। প্রিন্সিপাল ফনী ভূষণ শর্মা  স্যারের অফিসে বসেছিলাম। কি কি কথা হয়েছিল তা অর এখন মনে নেই। তবে এইটুকু বুঝতে পেরেছিলাম  যে প্রিন্সিপাল স্যার নালবাড়ির বাসিন্দা এবং তাঁদের মধ্যে প্রায়ই দেখা-সাক্ষ্যাৎ এবং কথা-বার্তা হয়, সুতরাং আমাকে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। 


প্রায় বছরদুয়েকের মধ্যেই জেঠুর ট্রান্সফার হয়ে যায় গুয়াহাটিতে (তদানন্তিন গৌহাটি) পান্ডু বিদ্যামন্দির উচ্চতর  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল হিসেবে। এই স্থানান্তরণ আমাদের জন্য ছিল যতটা অপ্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক, সমগ্র খাৰুপেটীয়াবাসির জন্যেও তাঁদের প্রিয়  'হেডমাস্টার মশাই' এর  চলে যাওয়া  ছিল ততটাই অভাবনীয় ও  দুঃখের। জেঠুরা চলে যাওয়ার দিনটা আমার চোখের সামনে এখনো স্পষ্ট। প্রচুর লোক এসেছিল দেখা করতে। ঘরের সমস্ত আসবাব ইত্যাদি বস্তাবন্দী করে ট্রাকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জেঠুরা সবাই পরে অন্য একটা গাড়িতে করে চলে গিয়েছিল। পড়েথাকা খালি ঘরগুলোর মাতো আমার মনটাও কেমন যেন খালি-খালি হয়ে গিয়েছিলো। বাবা আমাদের সবাইকে নিয়ে রানীমাসির বাড়িতে দিয়ে এসেছিলো। আসার সময় বলছিল "মাথার উপর থেকে ছাদটা  চলে গেলো।" 


জেঠুরা চলে যাওয়ার পর আমাদের আর্থিক অবস্থার আবার  ধীরে  ধীরে অবনতি ঘটতে থাকে। আমার উচ্চতর মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার কাছাকাছি সময়ে আমাদের  প্রায় অচলাবস্থা। পাওনাদারের তাগাদার ভয়ে বাবা গৃহত্যাগী। দোকানের তহবিল ফাঁকা। ঘরে এক কেজি চাউল মজুত নেই, পরের বেলা খেতে পাবো কিনা তা অজানা। এমপ্লয়মেন্ট নিউজটা নিয়মিত দেখতে শুরু করে দিই এই আশায় যে যদি কোনো কাজের সুযোগ পেয়ে যাই। পরীক্ষা চলাকালীন আমাকে একবার গুয়াহাটিও যেতে হয় জেঠুর সঙ্গে কথা বলতে। বলাই বাহুল্য যে আমার পরীক্ষা ভালো হয়নি। কোনোরকমে পাশ করে যাই। এমতাবস্তায়, আমি যখন ভাবছি পড়াশোনা বন্ধ করে কোনো কাজ শুরুকরার কথা, জেঠু আবার ভগবানের দূত হয়ে আসে আমাদের কষ্ট নিবারণের জন্য। এর কিছুদিন পর আমরা একত্রিত হই নলবাড়ি কোনো একটা উপলক্ষে। ওখানে জেঠু সিদ্ধান্ত নেয় যে আমি যাবো গুয়াহাটি জেঠুর কাছে আর অনন্ত যাবে বঙাইগাঁও কাকামনির কাছে। 


১৯৯০ এর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে গিয়ে পৌঁছাই পান্ডু। বড়দি-মেজদি তখন উনিভার্সিটিতে পড়ছে, বড়দা ইঞ্জিনিয়ারিং করছে, মেজদা স্কুলে আর পিংকু নার্সরীর ছাত্র। তখন আসামের স্কুল শিক্ষকদের বেতন ছিল অত্যন্ত নিয়মিতভাবে অনিয়মিত। দুতিন মাস পর একমাসের বেতন রিলিজ হতো। এর মধ্যে আমি একটা এক্সট্রা বার্ডেন। এতসবের মধ্যেও জেঠু আমার পড়াশোনার সঙ্গে কোনো আপস করেনি। এযে কতবড় ত্যাগ।  


এবার আমার এডমিশন হল মালিগাঁও স্থিত নেতাজী বিদ্যাপীঠে। যথারীতি জেঠুই নিয়ে  গিয়েছিল।  ওই স্কুলের প্রিন্সিপালও নলবাড়ির লোক, জেঠুর পরিচিত। নইলে প্রথম বার্ষিকের যা স্কোর, ওখানে আমার এডমিশন হওয়ার কথাই না।  এডমিশনের সঙ্গে সঙ্গে ইউনিফর্ম, বই-খাতা ইত্যাদি প্রচুর খরচ, আমি কিছু বুঝতেই পারিনি। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পান্ডু কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে একদুমাসের মতো ক্লাস করার পর ১৯৯১ এর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চলেযাই ব্যাঙ্গালোরে, ভারতীয় বায়ু সেনার বায়ুসৈনিক হতে। সরাসরি জেঠু ও বড়মার তত্ত্বাবধানে ওই একবছরেই আমার সঙ্গে সঙ্গে অনন্ত, কৃষ্ণ, অঞ্জন ও মনির পরবর্তী জীবনের দিশানির্দেশ তৈরি হয়েছিল। জীবনের সেই  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যদি জেঠু পাশে এসে না দাঁড়াতো তাহলে আমরা যে কোথায় ভেসে যেতাম তা এখন কল্পনা করতেও ভয়ে বুঁক কেঁপে ওঠে। 


পান্ডু থাকার সময় জেঠুর কাছে অনেক কিছু শিখেছিলাম যার প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। এরমধ্যে প্রথমেই মনে পড়ে খাবারের নিয়মানুবর্তিতার কথা। জেঠুর ছিল সময়মত খাও, সবকিছু খাও আর থালা পরিষ্কার করে খাও। ওই সময়েই আমি ধনেপাতা পছন্দ করতে শুরু করি, হেলেঞ্চা পাতা পরম তৃপ্তি সহকারে খেতে শুরু করি এবং খাবারে যাই থাকুক  থালা চেটেপুটে পরিষ্কার করে খেতে শিখি। এর সরাসরি প্রভাব দেখতে পাই ট্রেনিং সেন্টারের মেসে। সেই মেসের খাবারের স্বাদ-গন্ধ দিয়ে আমার কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় নি। কারণ আমি তখন সব খাই। 


মেসে খাবার নষ্ট করা খুবই হেয় চোখে দেখা হতো। খাবারের অপচয় থামানোর জন্য ডাইনিং হলের দেয়ালগুলোতে খুব সুন্দর সুন্দর উক্তি লেখা ছিল। থালা পরিষ্কার করে খাওয়ার অভ্যেসটা ওখানে আমার খুব কাজে লেগেছিল। জেঠুর আশীর্বাদে এই অভ্যেসটা এখনো অব্যাহত আছে। 


বাবার দীর্ঘ অসুস্থতা ও তৎপশ্চাৎ মৃত্যুর সময় জেঠু পাশে এসে না দাঁড়ালে হয়তো আমি ভেঙে পড়তাম। হাসপাতাল-ডাক্তার, দামী দামী পরীক্ষা আর ওষুধ, যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আর্থিক ও মানসিক দুদিকেই শক্ত হাতে হাল ধরে রেখেছিল জেঠু। বাবা বেঁচে থাকতেও জেঠুই ছিল মাথার উপর ছাদ হয়ে, তাই বাবা চলে যাওয়ার পর কখনো নিজেকে অনাথ মনে হয়নি। 


नेहाभिक्रमनाशोऽस्ति प्रत्यवायो न विद्यते ।

स्वल्पमप्यस्य धर्मस्य त्रायते महतो भयात् ॥ ४० ॥

জেঠু, পূর্বজন্মে নিশ্চয়ই  কোথাও একটু পুন্য করেছিলাম, নইলে এতগুলো সব বড় বড় বিপদ থেকে আমাদের উদ্ধার করতে ভগবান তোমাকে পাঠাবেন কেন। শুধু আমিই নই, আমার মতো আরো নাজানি কতশতজন আছেন যাঁরা তোমার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবেন। তাই নিজস্বার্থে ভগবানের কাছে তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি। ভাগবদ গীতায় ভগবান বলেছেন "ये यथा मां प्रपद्यन्ते तांस्तथैव भजाम्यहम् ।" তোমার এই নিঃস্বার্থ সেবা নিশ্চয়ই ভগবান দেখছেন যথোপযুক্ত পুরস্কারের জন্য। 


।। জয় শ্রীকৃষ্ণ।। 


Sukanta Sarkar


Comments

Popular posts from this blog

A Tree Full of Fruits

An Excellent Teacher and Administrator